বিকাশ একাউন্ট ব্লক খুলুন মাত্র দুই মিনিটে। বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ এবং সমাধান।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশ একাউন্ট, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম, বিকাশ একাউন্ট কার নামে আছে, বিকাশ একাউন্ট চেক, বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয়, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়, বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন, বিকাশ অ্যাপ, বিকাশ একাউন্ট কার নামে আছে, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম, বিকাশ একাউন্ট স্থগিত, বিকাশ হেল্প লাইন, বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার, বিকাশ লাইভ চ্যাট, বিকাশ একাউন্ট, বিকাশ লেনদেন, বিকাশ হেল্প লাইন, বিকাশ লাইভ চ্যাট, বিকাশ কাস্টমার কেয়ার, বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড অফার, বিকাশ অ্যাপ লগইন,
আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় দর্শক সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনি আমি সকলেই অনেক ভাল আছি তো আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদেরকে বলবো যদি আপনাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যায় অথবা ব্লক হয়ে যায় তাহলে কিভাবে সেটা খুলবেন।
চলুন.....
আমরা সাধারণত যারা বিকাশের লেনদেন করি তারা কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করেই আমাদের বিকাশ একাউন্টটি ব্লক হয়ে যেতে পারে সাময়িক সময়ের জন্য এবং ঠিক তখন কি জন্য একাউন্টটি ব্লক হলো সেটাও আমাদের জানা থাকে না এবং তখন কি করবো সেটাও আমরা বুঝে উঠতে পারিনা যার জন্য আজকে বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে গেলে মাত্র দুই মিনিটের ভিতরে ঘরে বসে থেকে কিভাবে সেটা খুলবেন, চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি কাজে চলে যাই...।
সবার আগে জানতে হবে বিকাশ একাউন্ট কোন কোন কারণে ব্লক হয়?
আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি তাদের প্রত্যেকেই হয়তো কোনো না কোনোভাবে টাকা লেনদেনের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এবং তার ভিতর সবচেয়ে সহজলভ্য হচ্ছে Bkash, Nagad, Rocket, এবং Upay ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং গুলো, যেহেতু এই জিনিসগুলোর মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হয় তাই এই জিনিসগুলোর প্রতি সিকিউরিটি অনেক বেশি থাকে অর্থাৎ যদি কোন ধরনের স্কেমিং অথবা অর্থ পাচারের মত কোন অ্যাক্টিভিটিস আপনার অ্যাকাউন্টে দেখা যায় তাহলেই কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দেয় সেটা যেকোন মোবাইল ব্যাংকিংই হতে পারে, হতে পারে নগদ, রকেট, একাউন্ট ইত্যাদি, যাইহোক চলুন আমরা প্রথমে জেনে নেই যে ঠিক কোন কোন কারণে আপনার বিকাশ একাউন্টটি ব্লক হতে পারে।
1 . App Cloner And Multiple Account Create:
সর্বপ্রথম বিকাশ বা মোবাইল ব্যাংকিং এর যেকোনো একাউন্ট লক হতে পারে মাল্টিপল একাউন্ট একই ডিভাইসের ব্যবহার করলে, এবং সবচেয়ে বেশি বিকাশ একাউন্টগুলো ব্লক হয় হচ্ছে একই জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে একাধিকবার বিকাশ একাউন্ট খোলার চেষ্টা করলে, এর জন্য দেখা যায় অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্লে স্টোরে পাওয়া যায় অ্যাপ ক্লোনার দিয়ে একটি বিকাশ একাউন্ট কে অনেকগুলো একসাথে চালাতে চায় এর জন্য কিন্তু আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে, তবে আপনি এতোটুক শিওর থাকেন যদি আপনি একটি জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে অনেকগুলো বিকাশ একাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং এর যেকোনো অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার সেই একাউন্ট ব্লক হবেই কেননা এটা বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এমনটাই হওয়ার কথা আশা করি কেন লক হয় তার প্রাথমিক ধারণা পেয়েছেন চলুন এবার দ্বিতীয় বিষয় নিয়ে কথা বলি।
2. Large transaction at a time withdraw:
হঠাৎ করেই আপনার একাউন্টে অনেক বড় বড় ট্রানজেকশন হলে অ্যাকাউন্ট ব্লক হতে পারে: আমরা বিকাশ একাউন্টে সাধারণত ১০০-৫০০ এবং ৫০০০-১০০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করে থাকি একদিনের ভিতর স্বাভাবিক অবস্থায় কিন্তু যখনই আমরা এর চাইতেও বেশি বড় অ্যামাউন্ট বিকাশ একাউন্টে তাৎক্ষণিক লেনদেন করব তখনই কিন্তু আমাদের এটা স্ক্যামিং অ্যাক্টিভিটি তে পড়বে যার জন্য কিন্তু আপনার বিকাশ একাউন্টটি ব্লক হতে পারে, ধরুন আপনি একসাথে ৫০ হাজার টাকা আপনার বিকাশ একাউন্টে ঢুকালেন আবার সাথে সাথে একই সময়ে দুই তিন ঘন্টার ভিতরে সেই টাকা অনেকগুলো একাউন্টে ট্রান্সফার করলেন এটা করলে কিন্তু আপনার একাউন্ট সাথে সাথে ব্লক করে দিতে পারে এবং এটা কিন্তু এজন্য ব্লক করে যে আপনি একটা স্ক্যামিং করছেন বলে কোম্পানির ধারণা হয় যার জন্য অ্যাকাউন্টটি তাৎক্ষণিক লক বা ব্লক করে দেয়া হয়।
3. Registered sim lost or replace:
আপনার বিকাশ একাউন্ট যেই সিম দিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল সেই সিম যদি কোন কারণে হারিয়ে যায় অথবা আপনার মোবাইল যদি কোন কারণে চুরি হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনার বিকাশ একাউন্টটি লক হতে পারে অথবা ব্লক করে দিতে পারে বিকাশ কোম্পানি, এটা সচরাচর আমাদের সাথে হয় যখন আমরা মোবাইলের সিম হারিয়ে গেছে অথবা কোথাও মোবাইল চুরি হয়ে গেছে চুরি যাওয়া মোবাইলের ভিতর আমার সেই কাঙ্ক্ষিত সিমটি রয়েছিল এরকম যদি হয় তাহলে একই সিম যখন আপনি সেই কোম্পানি থেকে নতুনভাবে রিপ্লেস করে নিবেন তখন বিকাশ একাউন্ট এর লগইন করার সময় আপনার একাউন্টটি ব্লক করে দিবে অটোমেটিক, এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যার জন্য আপনার বিকাশ একাউন্টটি লক হতে পারে।
4. Forget PIN and trying wrong PIN:
পিন ভুলে গেলে অথবা ভুল পিন দিয়ে টাকা ট্রান্সফার করার চেষ্টা করলে: অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা বিকাশ একাউন্টের যেই পাসওয়ার্ড থাকে সেই পাসওয়ার্ড ভুলে যাই এবং যার জন্য বারবার ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে টাকা লেনদেন করার চেষ্টা করি , এখানে মনে রাখতে হবে যখনই আপনি তিন বারের বেশি ভুল পিন দিয়ে লেনদেন করার চেষ্টা করবেন তখনই কিন্তু বিকাশ ব্যাংকিং সিস্টেম ধরে নেয় যে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে অথবা কোন স্ক্যামার এর কাছে গিয়েছে আপনার একাউন্ট থেকে অবৈধভাবে টাকা লেনদেন করার জন্য এটা মনে করে কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্টটি তাৎক্ষণিকভাবে ব্লক করে দেয় বিকাশ, আর এখানে আমরা একটা অনেক বড় ভুল করি সেটা হচ্ছে যখন বিকাশ লক হয়ে যায় তখন বারবার চেষ্টা করতেই থাকি যার জন্য এমনটা হয়ে থাকে।
Related keywords: বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশ একাউন্ট, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম, বিকাশ একাউন্ট কার নামে আছে, বিকাশ একাউন্ট চেক, বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয়, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়, বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন, বিকাশ অ্যাপ, বিকাশ একাউন্ট কার নামে আছে, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম, বিকাশ একাউন্ট স্থগিত, বিকাশ হেল্প লাইন, বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার, বিকাশ লাইভ চ্যাট, বিকাশ একাউন্ট, বিকাশ লেনদেন, বিকাশ হেল্প লাইন, বিকাশ লাইভ চ্যাট, বিকাশ কাস্টমার কেয়ার, বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড অফার, বিকাশ অ্যাপ লগইন.
আশা করছি আপনার এতক্ষণে বুঝে গেছেন যে মূলত কি কি কারণে বিকাশ একাউন্ট ব্লক হতে পারে। এবার চলুন..
বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে গেলে কিভাবে খুলবেন?
আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যাক অথবা যেকোনো ধরনের সমস্যাই হোক না কেন! সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হচ্ছে যদি আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয় আপনারা সরাসরি এই নাম্বারে কল দিবেন 16247 এটা হচ্ছে বিকাশের কাস্টমার কেয়ারের অফিসিয়াল নাম্বার , আর এটা ফোন নাম্বার 02-55663001 এই নাম্বারে কল দিলে আপনাকে সরাসরি সব কিছু খুলে বলতে হবে এবং এখানে অবশ্যই সত্য কথা বলতে হবে যে আপনার সাথে ঠিক কি কি ঘটেছিল এবং কিভাবে আপনার বিকাশ একাউন্টে ব্লক হয় তখন আপনার কাছ থেকেই কাস্টমার কেয়ার থেকে ভেরিফাই করার জন্য পার্সোনাল কিছু প্রশ্ন করা হবে যেগুলোর সঠিক তথ্য আপনাকে তাৎক্ষণিক দিতে হবে আপনার বিকাশ একাউন্টের লক খোলার জন্য...
যেমন কি কি ধরনের তথ্য আপনার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হতে পারে সেগুলো আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিই যেন আপনারা সহজেই উত্তর দিতে পারেন।
যদি মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করেও আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্লক না খুলতে পারেন তাহলে যা করবেন।
কোন কারণে যদি বিকাশের হেল্পলাইন বা কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়েও একাউন্টের লক খুলতে না পারেন তাহলে আপনারা বিকাশের অফিশিয়াল কাস্টমার কেয়ারে চলে যাবেন স্বশরীরে, এবং সাথে বেশ কিছু ডকুমেন্টস নিয়ে যাবেন যেমন আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং যেই সিম দিয়ে আপনার বিকাশ একাউন্টটি খোলা হয়েছিল সেটি, এবং আপনার একটি ইউটিলিটি বিল অথবা আপনার সার্টিফিকেট, ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে সরাসরি বিকাশের অফিসিয়াল কাস্টমার কেয়ারে গেলেই সেখানে আপনার সমস্ত সমস্যাগুলির কথা তাদেরকে বললে তারা সব ডকুমেন্টস আপনার কাছে চাইবে এবং সেগুলো যদি আপনার সঠিকভাবে তাদেরকে দিতে পারেন তাহলে সাথে সাথে তারা আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্লক খুলে দিবে.
বিকাশ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে কি করবেন?
যদি কোন কারনে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন ভুলে যান তাহলে সর্বপ্রথম মাথায় রাখতে হবে তিনবারের বেশি ভুলেও আপনি বিকাশের পিন চেষ্টা করবেন না এতে করে আপনার বিকাশ একাউন্টটি ব্লক হয়ে যাবে, যদি পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে সরাসরি দেখবেন যে বিকাশের যে অফিশিয়াল অ্যাপ্লিকেশনটি রয়েছে সেই অ্যাপ্লিকেশনটির নিচে ফরগেট পাসওয়ার্ড নামে একটি অপশন থাকবে সেটাতে ক্লিক করলেই আপনাকে দেখাবে যে আপনার ফোন নাম্বার দেয়ার জন্য আপনি যদি আপনার ফোন নাম্বারটি সেখানে প্রবেশ করান তাহলে দেখবেন আপনার সিমে একটি কোড যাবে , সেকুটি ভেরিফাই করার জন্য সেখানে দিয়ে দিবেন, এটি হয়ে গেলে অতঃপর আপনাদেরকে অনেকগুলো স্টেপ দিবে সেগুলো খুব মনোযোগ সহকারে পূরণ করতে হবে যেমন:
আশা করছি আজকের এই পোস্টটা আপনাদের অনেক অনেক উপকারে লাগবে কারণ এইরকম বিপদে আমিও একসময় পড়েছিলাম তখন জানতাম না যে বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে গেলে কি করতে হবে, এখন আপনারাও জানতে পারলেন যে বিকাশের একাউন্ট ব্লক বা ব্লক হয়ে গেলে কিভাবে সেটা খুলবেন এবং কিভাবে পিন পরিবর্তন করবেন যাবতীয় সকল তথ্য
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি।
0 Comments