Header Ads Widget

Ticker

6/trending/ticker-posts

লবণ খাওয়ার উপকারিতা এবং মারাত্মক কিছু ক্ষতিকারক দিক। জানতে হবে সবাইকেই।



ওয়েলকাম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আজকে কথা বলব লবণ খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতির দিকগুলো নিয়ে।


আমরা যে কোন কিছুই খায় না কেন সেখানে লবণ ব্যবহার করি। বিশেষ করে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান এসব অঞ্চলের লবণ ও মসলাজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হয়। বিশেষ করে এই অঞ্চলগুলোতে একটা কথা প্রচলিত সেটি হল লবণ ছাড়া কোন কিছুর স্বাদ হয় না। এই কথাটা কিছুটা হলেও সত্যি কারণ লবণ ছাড়া কোন রান্না বা কোন খাবার ভাল স্বাদ পাওয়া হয় না। লবণ বেশি হলে যেমন সমস্যা হয় তেমনি কম খেলে ও অনেক সমস্যা হয়। এ কারণে বাইরের দেশগুলোতে লবণ ও মসলাজাতীয় খাবার কম খায়। তবে বাংলাদেশে ভারত-পাকিস্তানে এগুলো একেবারেই হয় না। এখানে সাধারণত মসলা জাতীয় ও লবণ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হয়। লবণ বেশি হলে যেমন আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় তেমনি কম খেলেও কিন্তু বিভিন্ন রোগ হয় এই পোস্টে আমরা কথা বলবো লবণের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।


চলুন জেনে নেয়া যাক লবণের উপকারিতা সম্পর্কে।


প্রতিদিনের খাবারে লবণ একটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু লবণ ছাড়া রান্নার কথা ভাবাই যায়না কোন তরকারি রান্না বা স্বাদ হয়না। প্রতিদিনের খাবারে লবণ একটি অপরিহার্য উপাদান। লবণ খেলে বিভিন্ন রোগ যেমন গলগণ্ড  তারপরে আরও বিভিন্ন রোগ যেগুলো লবণ খাওয়ার কারনে হয় সেগুলো কিন্তু হবেনা যদি আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ খান। শুধু লবণ যতটা গুরুত্বপূর্ণ তেমনি আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।আয়ডিন যুক্ত লবণ খেলে ব্রেইনের বিকাশ ভালোভাবে হয় এবং বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচা যায় যেমন গলগণ্ড আরও অনেক রোগ আছে যা লবণ না খেলেই হয়ে থাকে সেগুলো থেকে বেঁচে থাকা যায়। লবণ পরিমাণমতো খাওয়াটাই উচিত বিশেষজ্ঞদের মতে একজন মানুষের দৈনিক পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত না। এছাড়াও কিন্তু লবণ আমাদের শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বা সোডিয়াম এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে লবণ যদি আমরা না খায় কিন্তু আমাদের শরীরে সোডিয়ামের অভাবে দেখা দিবে এবং সোডিয়ামের অভাবে কারণে কিন্তু প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে অতিরিক্ত সোডিয়াম এর কারণে ১৬ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এটা কিন্তু এক বছর হয়নি এটা বিভিন্ন বছর পরীক্ষা করে বা ৩-৪ বছরের গড় হিসাব করে দেখা যাচ্ছে যে অতিরিক্ত সোডিয়াম এর ফলে এই মানুষগুলো মারা গেছে অর্থাৎ লবণ অতিরিক্ত হওয়ার কারণে সোডিয়াম জমা হয় এবং এই সোডিয়াম জমা হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ হয় এ রোগের কারণে মানুষ মারা যায়। অর্থাৎ আমরা পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ সবসময় খাই যার কারণে এসব রোগ হয়। ১৮০ টা দেশের বেশি
পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া গিয়েছিলো। অতিরিক্ত সোডিয়াম এর ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। অতএব আমাদের প্রত্যেকের উচিত কমপক্ষে পাঁচ গ্রাম লবণ খাওয়া এবং এর বেশি না খাওয়ার কারণ বেশি খেলে লবণের অনেক ক্ষতিকর প্রভাব শরীরের মধ্যে পড়ে।লবণ কম খেলে শরীরে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ ব্যবহার করা খাবারে।


এই পর্যায়ে আমরা কথা বলবো অতিরিক্ত লবণ খেলে কি কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে। 


বিশেষজ্ঞদের মতে একজন মানুষের দৈনিক পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ খাবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অতিরিক্ত লবণ খেলে স্ট্রোক সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এমনকি র্হাট অ্যাটাক এর মত বড় রোগ লবণ বেশি খাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও ভারতের একটি জরিপ করে দেখা গেছে এই অঞ্চল গুলোর একজন মানুষ গড়ে ১০ গ্রাম করে লবণ খেয়ে থাকে। অর্থাৎ তারা প্রত্যেকেই অতিরিক্ত লবণ খায়। শুধু বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানের নয় এশিয়ার এই অঞ্চলগুলোতেই সবচেয়ে বেশি লবণ খাওয়া হয় ইউরোপ-আমেরিকা এসব অঞ্চলে কিন্তু লবণ খাওয়ার পরিমাণ অনেক কম। ইউরোপ-আমেরিকায় অধ্যুষিত অঞ্চল গুলোতে সাধারণত তিন থেকে চার গ্রামের মধ্যে তারা লবণ খাওয়া সীমাবদ্ধ রাখে। তাই তাদের হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক জাতীয় রোগ কম হয়ে থাকে। আমাদের প্রতিদিন খাবার তালিকায় লবণ একটি অপরিহার্য উপাদান যার কারণে আমরা প্রত্যেকে লবণ খেয়ে থাকি তবে পাকিস্তানি অঞ্চলগুলোতে লবণ খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন রোগে ভুগে হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোক জাতীয় রোগ লবণ বেশি হওয়ার কারণে হয়। এছাড়া সোডিয়াম বেশি জমা হয়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হয় এছাড়াও আরও বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত লবণ সঠিক পরিমাণ খাওয়া এবং সঠিক মাত্রায় খাওয়া। বেশি লবণ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত কম খাওয়া ও ক্ষতিকর তাই আমরা যতদূর সম্ভব লবণ কম খাওয়ার চেষ্টা করব বিশেষ করে পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো। লবণ বেশি খেলে  স্ট্রোক জাতীয় রোগ ই নয় উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণ ও লবণ হয়ে থাকে।তাই লবণ বেশি খাওয়া যাবেনা। লবণ খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা খেয়াল 


রাখবো যেন পাঁচ গ্রামের বেশি না হয়।পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ খেলে সেটা কিন্তু অতিরিক্ত লবণ এর পর্যায়ে পড়ে যাবে।


অতএব আমাদের প্রত্যেকের উচিত খেয়াল রাখা আমরা যাতে অতিরিক্ত লবণ না খাই এবং অতিরিক্ত কম লবণ ও যাতে না খাই। আমরা প্রত্যেকে যদি নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন না হই তাহলে কিন্তু সেটা আমাদের জন্যই বিপদজনক। তাই আমরা প্রত্যেকেই নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকবো এবং  নিয়মিত ব্যায়াম এবং নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খাব আর খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখব আমরা যখন কোন কেমিক্যালযুক্ত খাবার না খাই আর অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার যাতে আমরা না খাই। এতে করে কিন্তু আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধে ফেলবে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন হওয়া সচেতনতাই আমাদেরকে একমাত্র সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সহায়তা করতে পারে। আর আমরা প্রত্যেকে বেশি করে সবুজ শাকসবজি এমন ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবো এতে করে আমাদের শরীরের পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে এবং আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম ভালোভাবে কাজ করবে এবং আমরা সুস্থ থাকতে পারব তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজের খাবার সম্পর্কে এবং নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা।

আপনাদের সঙ্গে এসব পোস্ট শেয়ার করে আপনি আমি আপনাদের যতদূর সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করি এবং আপনাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করতে থাকবো। তবে আপনারা এই পোস্টগুলো সম্পূর্ন পড়বেন এবং আপনাদের জীবনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনারা যেমন ভালো ফল পাবেন তেমনি আমার আপনাদের জন্য লেখা সার্থক হবে। তাই শুধু পোস্ট সম্পূর্ণ পড়লেই হবে না আপনাদের উচিত হবে এ পোস্টের কথাগুলো মেনে চলা এবং নিজেকে সুস্থ রাখা। নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আবারো হাজির হব সেই পর্যন্ত সুস্থ থাকবেন।


নাটকের লিংক👈👈

Post a Comment

0 Comments