Header Ads Widget

Ticker

6/trending/ticker-posts

ভুলেও খাওয়ার পর এই কাজ গুলো করবেন না! জেনে নিন কি কি।

এই পোস্টে আমরা কথা বলবো খাওয়া দাওয়ার পরে কি করা উচিত বা কি করা উচিত নয়?


মানুষের বেঁচে থাকতে হলে খাবার অত্যন্ত জরুরী। খাবারের জন্য পৃথিবীতে মানুষ কাজ করে না হলে কোন মানুষ কাজ ই করতো না। পৃথিবীতে অনেক ধরনের খাবারই আছে। একেক দেশে একেক রকম খাবার প্রচলিত থাকে। সব দেশের খাবার যেমন একটা তেমনি সব দেশের খাবারের স্বাদ ও এক না। প্রত্যেকটা খাবার একটা থেকে আরেকটা আলাদা। খাবার ক্ষেত্রে আবার বিভিন্ন মানুষের চাহিদা ও বিভিন্ন। এক একজন এক একটা পছন্দ করে কেউ নির্দিষ্ট কোন খাবার পছন্দ করে না। এক রকম খাবার কেউ খেতে চায় না। এমনকি এক রকম খাবার কেউ বেশি খেতে পারে না। এক রকম খাবার খেলে তাদের অনুভূতি পাবে এক রকম স্বাদ পাবে যার কারণে এক রকম খাবার কে বেশি খেতে পারে না তাই মানুষ বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে থাকে। এই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক যাচাই-বাছাই ঘরে খায় আবার অনেকে যাচাই-বাছাই না করে সামনে যেতেই পায় সেটাই খেয়ে ফেলে। খাবার কম খেলে শরিরে সঠিক পুষ্টি গুণ পায় না ফলে মানুষ রোগা হয়ে যায়। আবার খাবার বেশি খেলে শরীরের স্বাস্থ্য বেড়ে যায় যার ফলে অনেকে মোটা হয়ে যায় এবং সেটাও আর একটা সমস্যা। অতএব আমাদের প্রত্যেকের উচিত অতিরিক্ত না খাওয়া আবার খাবার কম ও না খাওয়া। অতএব আমাদের সকলের উচিত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বা সুষম খাদ্য খাওয়া। সুষম খাদ্য বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো খাদ্যের ছয়টি উপাদান এই যে খাবারে বিদ্যমান সে রকম খাবার খাওয়া।


এখন কথা বলব খাবার খাওয়ার পরে কি করা উচিত?

প্রথমেই বলে নেয়া ভাল যে খাবার খাওয়া ক্ষেত্রে আমরা খেয়াল রাখব আমরা যাতে অতিরিক্ত না খায় পাকা খায় কিন্তু সঠিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাই। বর্তমানে খাবারের অনেক ভেজাল বা মেডিসিন বা ক্যামিকেল যুক্ত খাবার বাজারে অহরহ যেগুলো কেমিক্যালযুক্ত খাবার সেগুলো একটু ভালো করে ধুয়ে নিয়ে খেলে সে ক্ষেত্রে একটু ঝুঁকি কম থাকে ঝুকিমুক্ত একেবারেই খাবার পাওয়া যায় না তো সে ক্ষেত্রে আমাদের এখন এটাই খেয়ে থাকতে হয়। তারপরও আমাদের উচিত ভালোভাবে খাবারগুলোকে সিদ্ধ খাওয়া। কিছু ফলমূল যেমন আপেল কমলা এসব যদি আনা হয় সেগুলো কিন্তু অনেক পুরানো হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে যখন আনবেন তখন দশ পনের মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখলে সেটার উপরে লাগা কেমিক্যাল গুলো পানির সাথে মিশে যায় এবং ফোল্ডার থেকে কেমিক্যাল চলে যায় তো এভাবে দশ পনের মিনিট যদি আমরা খেয়াল করে ভিজিয়ে রাখি তাহলে কিন্তু আমরা কেমিক্যাল মুক্ত খাবার গুলো পেতে পারি। বর্তমানে বাজারে যেসব বা খাবার পাওয়া যায় কমলা আঙ্গুর এমনকি সব ফল-ফলাদি কেমিক্যাল দেওয়া থাকে মাছ মাছ শাকসবজি সেগুলোতেও কেমিক্যাল থাকে। তাই আমাদের উচিত এগুলো যখন আমরা রান্না করবো তখন ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়া এতে করে কেমিক্যাল এর ঝুঁকি থেকে যদি একটু কমে যাবে তবে একেবারেই চলে যাবে না কারণ দীর্ঘদিন কেমিক্যাল দেওয়ার কারণে এটার প্রভাব থেকে যায়। বর্তমান বাংলাদেশে আপনারা অনেকেই অনেক অভিযান দেখছেন যেগুলোতে বিভিন্ন ভেজালবিরোধী অভিযান বিভিন্ন ভেজাল খাবার বিভিন্ন এমনকি ডাক্তারের ওষুধ সহ বিভিন্ন ভেজাল বের হয়ে আসছে। যদি এভাবে অভিযানগুলো চলতে থাকে তাহলে কিন্তু আমাদের কিছুটা হলেও কেমিক্যাল মুক্ত খাবার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর একটা কথা বলে নেওয়া ভাল সেটা হল খাবার খাওয়ার আগে আমরা চেষ্টা করব খাবারের তালিকায় সুষম খাবার রাখতে অর্থাৎ খাদ্যের ছয়টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ খাবার যদি সেটা আলাদা আলাদা শাকসবজিও হয় তাহলে আমরা চেষ্টা করব সব কোন উপাদান যাতে খাবারে থাকে এমন খাবার খাওয়ার আর মাছ, মাংস, ডিম এগুলো আমিষ জাতীয় খাবার আর দুধ হল সবচেয়ে সুষম খাবার। আপনি খেয়াল করে দেখবেন সাধারণত পানি খেলে আপনার তৃষ্ণা মিটে যায় খাবার খেলে আপনার পেট ভরে যায় কিন্তু আপনি যদি দুধ খান তাহলে আপনার তৃষ্ণা মিটে যায় এবং খাবারের চাহিদা মিটে যায়। অর্থাৎ সোজা কথায় বলতে গেলে দুধ খেলে আপনার পেট ভরবে সাথে সাথে আপনার তৃষ্ণা অর্থাৎ পানির প্রয়োজনীয়তা ছিল সেটাও মিটে যাবে। শুধু এই কারনে যে দুধ কি সুষম খাবার বলা হয় তা কিন্তু নয় দুধের মধ্যে খাদ্যের ছয়টি গুনা গুনি বিদ্যমান এই কারণে দুধকে সুষম খাদ্য বলা হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত খাবার খাওয়ার আগে প্রত্যেকটা খাবার ভালো করে যাচাই বাছাই করে খাওয়া এবং সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা। আর অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় আপনার পেটে গ্যাস জমে তারপরে আপনার পেটের বিভিন্ন সমস্যা হয় চর্বি বেড়ে যায়  ফলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত খাবার খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খাবার আগে যদি আমরা এ বিষয়গুলো ভালভাবে খেয়াল রাখি তা হলে আমাদের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।


এবার আমরা কথা বলব খাবার খাওয়ার পরে কি করা উচিত না সে সম্পর্কে।


আমাদের অনেকের অনেক বদ অভ্যাস আছে আমরা খাবার খাওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের তামাক জাতীয় দ্রব্য যেমন পান বিড়ি সিগারেট ইত্যাদি খেয়ে থাকি যার কারণে কিন্তু আমাদের খাবারগুলো হজম হওয়ার আগেই সেগুলোতে পুষ্টিগুণের মান কমে যাবে। আপনারা প্রত্যেকেই এখন জানেন যে ধূমপান হলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি বস্তুর তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে ধূমপানের ফলে কিন্তু ক্যান্সারসহ অনেক ধরনের রোগী হয়ে থাকে অতএব খাবার পরে পরে ধূমপান করা কিন্তু উচিত নয় শুধু খাবার পরে না কখনোই ধূমপান করা উচিত নয়। ধূমপানের কারণে কিন্তু স্ট্রোক অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের স্ট্রোক আছে ব্রেইন স্ট্রোক এগুলো হয়ে থাকে তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত ধূমপান থেকে বিরত থাকা। খাবার পরপরই ধূমপান করলে সেটা আমাদের পুষ্টিগুণ থেকে নামিয়ে দেয় যার কারণে আমাদের যতই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাই না কেন আমাদের শরীরের সঠিক পুষ্টি তা পায় না তাই আমাদের উচিত খাবার পরপরই ধূমপান থেকে বিরত থাকা। খাবার খাওয়ার সময় আমরা সকলে যত পারি ততো খেয়ে নেব অর্থাৎ সকালে আমরা যখন খাব তখন পেট ভরে খাবো যাতে সারাদিন আমাদের পেট ভরা থাকবে এবং আমাদের সহজে ক্ষুধা লাগবে না আর দুপুরে আমরা যখন খাবার খাবো তখন আমরা খেয়াল রাখব যেন অর্ধেক খাই আর অর্ধেক খালি থাকে যাতে আমাদের নিঃশ্বাস নিতে সুবিধা হয় এবং আমাদের কাজ করতে অসুবিধা হবে। খাবার খাওয়ার পর আবার অনেকের একটা বদ অভ্যাস আছে সেটা হল চা খাওয়া। আমাদের সমাজে এমন কিছু লোক আছে যারা চা না খেলে ঘুম হয় না। খাবারের পর পর যদি আমরা চা খাই তাহলে কিন্তু আমাদের হজমের সমস্যা হয় এবং আমাদের খাবারগুলো সহজে হজম হতে পারে না ফলে এ থেকে বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যার সৃষ্টি হয়। আবার অনেকেই বলে থাকে যে খাবার পর পর কিছু ফল ফলাদি খেলে সেটা শরীরের জন্য ভালো কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা বলবো যে খাবার খাওয়ার পরপরই ফল-ফলাদি খেলে সেটা আপনার বদহজমের কারণ হতে পারে। খাওয়ার একেবারেই শেষে বা খাওয়ার পরপরই এগুলো খাওয়া উচিত নয় কমপক্ষে আধা ঘন্টা বা 1 ঘন্টা পরে এগুলো খাওয়া ভালো। আর আপনাদের আগেই বলেছিলাম যে ফল-ফলাদি তো এখন বর্তমানে কেমিক্যাল প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যার কারণে ফল-ফলাদি খাবার খাওয়ার পরপরই না খাওয়াটাই ভাল তবে আধা ঘন্টা এক ঘন্টা পর আপনারা খেতে পারেন। আর যাদের বদহজম জনিত সমস্যা আছে তারা খাবার খাওয়ার পর পরই ফল-ফলাদি খাওয়া থেকে একেবারেই বিরত থাকুন কারণ এটা আপনার লিভারে আরো সমস্যা করবে। আর খাবার খাওয়ার পরে সাথে সাথে ঘুমানো উচিত না কারণ খাবার হজম হতে শরীরের কিছুটা সময় লাগে তাই খাবার খাওয়ার পরপরই আপনি যদি ঘুমিয়ে পড়েন ঘুমের সময় কিন্তু মানুষের সব এনজিওগুলো সজাগ থাকে না যার কারণে খাবার হজম হতে অনেকটা সময় লাগে তাই খাবার হজম হতে হতে অনেক দেরী হয়ে যায়।



 তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত খাবার খাওয়ার কমপক্ষে আধা ঘন্টা একটু হাঁটাচলা করে তারপর ঘুমানো। কারণ খাবার খাওয়ার পরে যদি আপনি ঘুমিয়ে যান এটা আপনার হৃদরোগজনিত রোগের কারণ হতে পারে। আর খাবার খাওয়ার পর পর যদি একটু হাঁটাচলা করে আপনি ঘুমান সেক্ষেত্রে আপনার খাবার দ্রুত হজম হয়ে যাবে এবং আপনি শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন এবং পেটের কোন সমস্যা হবে না। 

 আশা করছি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এ পোষ্টের কথাগুলো যদি আপনার ভালোভাবে পড়ে থাকেন এবং বুঝে থাকেন এবং এগুলো যদি আপনি মেনে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার শরীর এবং মন দুটোই ভাল থাকবে এবং আপনি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন। অতএব সঠিকমাত্রায় খাবার খান সঠিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খান সুষম খাবার খান এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখুন।


নাটকের লিংক👈👈

Post a Comment

0 Comments