Header Ads Widget

Ticker

6/trending/ticker-posts

গ্যাস্টিকের সমস্যা সমাধানে আপনারা কি কি উপায় অবলম্বন করতে পারেন?






হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন? তো এই পোস্টে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। সেটি হল গ্যাস্টিকের সমস্যা সমাধানে আপনারা কি কি উপায় অবলম্বন করতে পারেন?


আপনারা সকলেই জানেন গ্যাস্ট্রিক এখন একটি সাধারণ রোগ। একদম ছোট থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের মাঝেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা যায়। বাংলাদেশে তো এটা একেবারে কমন রোগ হয়ে গেছে। অর্থাৎ গ্যাস্ট্রিক প্রায় প্রত্যেকেরই আছে কম হোক বা বেশী। গ্যাস্ট্রিক যেমন একটি সাধারণ রোগ তেমনি কিন্তু এটা কিছুটা ঘাতক হতে পারে যখন আপনি এটার কোন চিকিৎসাসেবা  নিবেন না তখন এটা কিন্তু ঘাতক রূপ ধারণ করবে। গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার, আলসার থেকে আরও বিভিন্ন জটিল জটিল রোগ হয়ে যায়। অতএব আমাদের গ্যাস্ট্রিক কে অবহেলা করা উচিত নয়। শুধু গ্যাস্ট্রিক ই নয় আমাদের কোন রোগ হলে সেক্ষেত্রে আমরা অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করব। এতে করে রোগ বাড়ার আগে আগেই রোগ কমা শুরু করবে যার কারণে এটা বড় আকার ধারণ করতে পারবেনা। যাই হোক এবার মূল কথায় আসি। গ্যাস্ট্রিক আসলে কোন রোগ নয় এটা আমাদের কিছু বদভ্যাসেকারণে দেখা দেয়। আবার অনেক সময় এটা রোগ ন্যায় হয়ে যায়। আমরা যদি কিছু নিয়মকানুন পালন করি তাহলে কিন্তু এগিয়েএটা আমরা সহজেই নির্মূল করতে পারি ।যদি ও একেবারে নির্মূল করা সম্ভব না তারপর আমরা কিছুটা প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থ্যা  গ্রহণ করতে পারি। তবে এর জন্য আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে গ্যাস্ট্রিক কি গ্যাস্ট্রিক কেন হয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কি আর আমরা কিভাবে গ্যাস্ট্রিক থেকে বেঁচে থাকতে পারি। গ্যাস্ট্রিক মূলত আমাদের কিছু বদঅভ্যাস অর্থাৎ আমাদের খাওয়াদাওয়া থেকেই হয়। অর্থাৎ আমরা যদি আমাদের খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন করি সে ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক কমানোর গ্যাস্টিকের প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।


প্রথমেই জেনে নেই যে গ্যাস্ট্রিক কি? আর গ্যাস্টিক কেনই বা হয়?


আমরা যেটাকে গ্যাস্ট্রিক বলি তার বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে পেপটিক আলসার ডিজিজ বা  পিইউডি। আমাদের পাকস্থলী তে সাধারণত যে সমস্যাটা হয় সেটা কে আমরা গ্যাস্ট্রিক বলে মনে করি। সাধারণত বুক জ্বালাপোড়া অথবা পেটে ক্ষুধা না লাগা অথবা পেট ফুলে থাকা অথবা পেটে গ্যাস জমা হয়ে থাকা এইসব লক্ষণ ই  গ্যাস্ট্রিকের। অনেক ক্ষেত্রে ছোট বাচ্চাদের গ্যাস্টিক হয়ে থাকে অর্থাৎ আপনাদেরকে প্রথমে বলে নিয়েছি যে ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ বয়সের প্রায় সব মানুষের ভিতরে কমবেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস বা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বা বুক জ্বালাপোড়া বা পেটে ক্ষুধা না লাগা এটা সাময়িক হয়। যার কারণে গ্যাস্ট্রিক টা বেশি বোঝা যায় না। তবে যদি একটু বিস্তার লাভ করে তখন আমরা গ্যাস্টিক হয়েছে এটা বুঝতে পারি। গ্যাস্ট্রিক সাধারণ অর্থে যা বুঝি সেটা হল পেটের সমস্যা।


এখন আমরা কথা বলবো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কেন হয় সে সম্পর্কে।


সাধারণত কোন খাবার যাচাই-বাছাই করে না খাওয়া বা অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক হয়। যেমন ভাজা পোড়া,তেল জাতীয় জিনিস ও মসলাজাতীয় অতিরিক্ত কোনও জিনিস যদি আমরা খাই তা হলে সে ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। গ্যাস্টিকের মূল সমস্যার ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করে শুধুমাত্র ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক হয় আসলে এ ধারণা ঠিক কিন্তু পুরোপুরি ভাবে ঠিক না। সাধারনত ভাজাপোড়া খাওয়ার ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার কারণ হচ্ছে ভাজাপোড়া টা যদি আমরা বেশি খাই সে ক্ষেত্রে গ্যাস  হয় আমরা যদি অল্প খাই তাহলে কিন্তু সে ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক হয় না। আর যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের তো এই ভাজা পোড়া থেকে ১০  হাত দূরে থাকার দরকার। সাধারনত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার যদি আমরা বেশি খাই তবে সেক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক হয়।


 আর গ্যাস্ট্রিক হওয়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে আর কারণগুলোর মধ্যে হচ্ছে ঠিক সময় খাবার না খাওয়া,পানি কম খাওয়া এগুলোই এখানে মূল কারণ। আমরা অনেকেই আছি যারা সকালের খাবার দুপুরে খাই,দুপুরের খাবার রাতে খাই এভাবে অসময়ে বা টাইম মেনটেইন করে যদি আমরা খাবার না খাই তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের গ্যাস্ট্রিক হয়।অর্থাৎ এখন আপনার খাওয়ার সময় আপনি যদি আরো দুই-তিন ঘণ্টা পর এ খান তা হলে তো গ্যাস্টিক হবেই।আর একটা কারণ হচ্ছে পানি। পানির গুরুত্ব সম্পর্কে তো আপনারা বিস্তারিত হয়তোবা আমার আগের পোস্টগুলো থেকে পড়েছেন। তাই এ নিয়ে আর আমি আলোচনা করব না। মানুষের শরীরের রিফ্লাক্স নামক একটা উপাদান রয়েছে সেটা আমাদের খাবারের ক্ষেত্রে কাজ করে। অর্থাৎ আমরা এক টাইমে এখন খাবার খেলাম তো সঠিক সময় যদি আবার পরবর্তী খাবারটার না খায় সে ক্ষেত্রে যতটুকু সময় এখানে থাকবে সে টুকু গ্যাস আমাদের জমা হয়ে যাবে পেটে এভাবে আস্তে আস্তে গ্যাস জমতে জমতে সেটা গ্যাস্টিকের আকার ধারণ করে। আরো সহজ করে আর যদি আপনাদেরকে বুঝাতে চাই তাহলে মনে করেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনি খালি পেটে যদি বেশি পরিমাণ পানি পান করতে পারেন সেটা কিন্তু আপনার সারাদিনের যত কাজ  রয়েছে সেই কাজের ক্ষেত্রে রোগ বাহি জীবাণু গুলো থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। তাই সকালে শুরুটা আপনার জন্য খুবই উপকারী হয়। তাই যদি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তাহলে বেশি পরিমাণে পানি পান করুন এতে করে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা টা কমে যাবে। আপনার যদি আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পেট ভর্তি করে পানি পান করতে পারে তাহলে কিন্তু গ্যাস্টিকের সমস্যা আপনার কখনোই দেখা দিবেনা।


গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে আরও একটি উপায় রয়েছে সেটি হচ্ছে দই।


আপনারা সবাই জানেন যে দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো একটি উপাদান। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার একটি কারণ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে এই গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা টা হয়। আপনারা যদি দইয়ের সাথে কলা ও মধু এই জাতীয় খাবার গুলো মিশিয়ে খেতে পারেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার গ্যাস্টিকের একটি ভালো রেজাল্ট পাবেন। দই খাওয়ার ক্ষেত্রে এটা খেয়াল করবেন যখন আপনি দেখাচ্ছেন দইয়ের সাথে যদি কলা ও মধু মিশিয়ে খান তাহলে সেক্ষেত্রে কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা তা তাৎক্ষণিকভাবে কম হয়ে যায়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে দই একটি উপকারী খাদ্য তাই আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি হলে দই খাওয়ার চেষ্টা করব সাথে কলা ও মধু মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করতে পারি এতে করে আমরা একটা ভালো ফলাফল পেতে পারি। আমি আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে এইসব কথা বা এধরনের এক্সপেরিমেন্ট করে দেখেছি যে এই ক্ষেত্রে অনেকেরই গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়েছে তাই আমি আপনাদেরকে এই পরামর্শ গুলো দিচ্ছি।



গ্যাস্ট্রিক দূর করার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে কিন্তু আলু


অনেকেই মনে করে থাকে যে আলু জাতীয় খাবার খেলেই গ্যাস্ট্রিক হয়। কারণ আলুতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস থাকে যার কারণে আমাদের পেটে গ্যাস জমা হয় এবং সেখান থেকে আমাদের গ্যাস্ট্রিক হয় আসলে ধারণাটা পুরোপুরি সত্য নয়। আমরা যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় আলুর রস খেতে পারি তাহলে কিন্তু গ্যাস জমা হবে না। আর আলুর রস খাওয়ার নিয়ম গুলো হল আলুর রস আমরা বের করে সেটা গরম পানিতে দিয়ে ভালোভাবে দশ পনের মিনিট নাগাদ পানিতে ফুটিয়ে সেটা যদি আমরা পান করি তাহলে কিন্তু গ্যাস্টিকের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তবে যথাসম্ভব আপনারা চেষ্টা করবেন যদি আলুর রস টা গরম পানিতে ফুটিয়ে খান তাহলে কমপক্ষে খাওয়ার দুই থেকে আড়াই ঘন্টা আগে এটা খেয়ে নিবেন তাহলে কিন্তু এটা আপনার উপকারে দেবে আর যদি খাওয়ার পরে খান তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু তেমন কোনো উপকার দিবেনা। অনেকে আবার মনে করেন ঝাল বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় আসলে এ ধরনের ভুল কারণ ঝাল বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় না গ্যাস্টিকের পর যদি আপনি ঝাল খান তাহলে আপনার সমস্যার কারণ হতে পারে। তেমনি আলু গ্যাস্টিকের পর যদি আপনারা খান তাহলে কিন্তু আপনাদের সমস্যা হতে পারে কিন্তু আগে যদি খান সে ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক এ এর কোনো প্রভাব পড়বে না। অতএব বলা যায় যে আলু বেশি খেলে বা ঝাল বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল।


আপনারা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলেন যে,গ্যাস্ট্রিক কি? গ্যাস্ট্রিক কেন হয়? গ্যাস্টিকের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কি? আর আমরা এটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? এসকল কিছু সম্পর্কে। আপনারা যদি এই পোস্ট গুলো ভালোভাবে পড়ে থাকেন আর আমার আগের পোষ্ট গুলো যদি পড়েন তাহলে কিন্তু আপনারা এখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং আপনার জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন। আপনাদের জন্যই এসব পোস্ট করা। যদি আপনারা না পড়েন তাহলে কিন্তু আমাদের লেখাটাই ব্যর্থ আপনারা অনেকেই জানেন যে একটা পোস্ট লিখতে অনেক সময় লাগে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা সময় দিয়ে পোস্ট গুলো কষ্ট করে লিখতে হয়। আপনারা যদি এগুলো না পড়ে  আপনাদের জীবনে কাজে না লাগান তাহলে কিন্তু আপনাদের জন্য আমাদের লেখাটাই ব্যর্থ। আর এই সব টিপস আপনারা নিজেদের ডাক্তারের কাছে নিতে যান তাহলে কিন্তু আপনাকে কমপক্ষে ৫০০ টাকা ভিজিট দিয়ে তারপরেই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গুলো নিতে হবে। সেখানে আমরা কিন্তু আপনাকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এই টিপসগুলো দিচ্ছি । অতএব আপনারা চেষ্টা করবেন যে পোস্টগুলো পড়ার এবং এগুলো নিজের জীবনে কাজে লাগানোর এতে করে আপনারা সুস্থ ভাবে থাকতে পারবেন আর আমাদের লেখাটা সার্থক হবে।


আর কারো গ্যাস্ট্রিক হবে না এরকম কোন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না কারণ গ্যাস্টিক একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। হয়তোবা এখন নেই বা এক মাস বা দুই মাস নেই কিংবা এক বছর হল না আর এক বছর হয়তো বা একদিন হলো বা হলো না এভাবে গ্যাস্টিক টা হয় । এর কোন নির্দিষ্ট সময় নেই যে এখন হবে বা তখন হবে না। সাধারণত খাবারে অবহেলা করার কারণে গ্যাস্ট্রিক হয়। আর তেলে  ভাজা বা ভাজা  পোড়া খাবার খাওয়াটাও গ্যাস্টিকের আরেকটা কারণ। এই ক্ষেত্রে আমাদের বলাই বাহুল্য যে আমরা যদি সঠিক সময়ে খাবার খাই এবং তেলে ভাজা পোড়া জিনিস কম খাই সে ক্ষেত্রে আমাদের গ্যাস্ট্রিক হবে না। তবে গ্যাস্ট্রিক হলে যে আপনি ভাজাপোড়া খেতে পারবেন না সেটা কিন্তু নয় । এটা ডায়াবেটিসের মতো রোগ নয় যে আপনার খাবার বেছে খেতে হবে এটা খাওয়া যাবে না ওটা খাওয়া যাবে না আপনি সবই খেতে পারবেন। তবে একটু নির্দিষ্ট পরিমাণে খাবেন যাতে করে আপনারগ্যাস্ট্রিক না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। অর্থাৎ আপনার সচেতনতাই পারে আপনাকে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্ত রাখতে। এখন দেখতে পারছেন যে বর্তমানে ক্ষেত্রে যারা ডায়াবেটিস রোগী আছে তাদেরকে কিন্তু অনেক খাবার বেছে চলতে হয় হয়তো বা পাঁচ বছরের মধ্যে এমন কোন ওষুধ বের হবে যাতে করে ডায়াবেটিস রোগীদের আর কোন খাবার বাদ করতে হবে না তারা সব খাবার খেতে পারবে। আবার নাও হতে পারে এর কোন গ্যারান্টি নাই কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় এরকম কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই যে এই খাবারগুলো খাওয়া যাবে না বা এই খাবার খেতে হবে। সুতরাং বলা যায় যে গ্যাস্ট্রিক হলেও আমাদের বেশি চিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা সঠিক খাওয়া-দাওয়া এবং আমাদের পিছু খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ এর মাধ্যমে আমরা এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে পারি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।



গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায় কিভাবে সে সম্পর্কে।



গ্যাস্ট্রিক দূর করার ক্ষেত্রে আদা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদাতে এমন কিছু উপকরণ আছে যে আপনার বুকের জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্ট্রিক এর যাবতীয় সমস্যা থেকে দূর করতে সাহায্য করে। আদার রস গ্যাস্টিকের ক্ষেত্রে অনেক ভাল কার্যকরী একটি ওষুধ নিয়মিত আদার রসের সাথে এক ফোঁটা বা দুুই ফোঁটা মধু মিশিয়ে খাই সে ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিকের যাবতীয় সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারি। আবার অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে আদা কুচি কুচি করে কেটে সেটা গরম পানিতে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে তারপর যদি খাওয়া হয় তাহলে সে কিন্তু গ্যাস্টিকের খুব কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায়। আসলে আদার চা ও গ্যাস্ট্রিকের ক্ষেত্রে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে আপনার যখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেবে তখন আপনি যদি আদা চা খান তাহলে কিন্তু আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিছুটা হলেও কমে যাবে। আর আদা দিয়ে যখন আপনি গরম পানিতে দিবেন তখন কিন্তু খেয়াল রাখবেন কমপক্ষে ১০ মিনিট বা গরম পানির যদি কুসুম গরম হচ্ছে একটু বেশি গরম করে নিবেন তাতে করে যে উপাদান গুলো আছে সেটা ভালোভাবে পানির সাথে মিশে যাবে এবং এটা আপনার গ্যাস্ট্রিকের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করব। আদা বেটে আদার রসের সাথে কিছুটা মধু মিশিয়ে কিন্তু আপনি সকাল দুপুর এবং রাতের বেলা যদি নিয়ম করে খান তাহলে কিন্তু আপনার জীবনেও গ্যাস্ট্রিক হবে না। এভাবে যদি আপনারা চা খান তাহলে কিন্তু আপনারা সারা জীবন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিক থেকে ভালো থাকতে পারবেন। আর আপনারা যদি এই নিয়মগুলো পালন না করেন তাহলে কিন্তু আপনাদের গ্যাস্ট্রিক হবে এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক দূর করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।



 আরো একটি উপায় নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করব সেটি হচ্ছে পানি।

পানির গুরুত্ব সম্পর্কে তো আপনারা সকলেই জানেন যে পানি আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সঠিক পরিমাণ মতো পানি খাই তাহলে কিন্তু আমাদের শরীরে কোনো রোগই সহজে বাসা বাঁধতে পারেনা ।পানির অভাবে বা পানি কম খাওয়ার কারণেই কিন্তু আমাদের শরীরের যত প্রকার রোগ হয়ে থাকে। পানির গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে থাকলে তো আপনারা শুধু পানির গুরুত্ব সম্পর্কে পড়তে থাকবেন তাই এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো না কারণ ইতিমধ্যেই পানির গুরুত্ব নিয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছে। যাই হোক এখন জানা যাক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পানি কি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রিক হয় তাদের কিন্তু মূলত দুইটা কারণে গ্যাস্ট্রিক হয় এক হলো পানি খাওয়া আর দুই হলো তেলেভাজা জিনিস বেশি খাওয়া। তাই আপনি যদি বেশি পরিমাণে পানি পান করেন তা হলে গ্যাস্ট্রিক হবে না।নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবারও আপনাদের সামনে হাজির হব ততক্ষন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন

Post a Comment

0 Comments