সবার কি অবস্থা আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন তো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে বলতে চাচ্ছি যে আপনাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে 7 টি টিপস দিব যেটা খুবই কমন ভাবে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগাতে পারেন!!
বন্ধুরা আপনারা মাঝে মাঝে এই জিনিসটা খুব ভালো করে ভাববেন যে আপনার কাছে অনেক টাকা পয়সা আছে কিন্তু আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো নেই তাহলে কিন্তু সেই টাকা পয়সা আপনার ভালো লাগবে না আর এটাই হচ্ছে নিয়ম তো বন্ধুরা আপনারা কিভাবে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন না কারণ ভালো রাখার মালিক আল্লাহ তবে আপনারা ভালো কিছু খাবার বা ভাল কিছু অভ্যাস আপনারা করুন এবং খারাপ কিছু অভ্যাস বাদ দিন তাহলে আপনারা ভালো সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে পারেন!
এখন আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত একটু বর্ণনা করে বলব তো আমাদের এক নাম্বার পয়েন্ট আছে
1: - আপনাদেরকে সবসময় বাম কানে ফোন রিসিভ করতে হবে! এই জিনিসটা কিন্তু আপনারা অনেকেই ভুলে যান মোটেই উচিত নয় ! ইদানিং আমরা সব স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ই কিন্তু যখন কল আসে তখন কিন্তু ফোনটা রিসিভ করে আগের ডান কানে নেই এটা কিন্তু খুবই ক্ষতিকর আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এবং আপনার কানের জন্য কেননা যখনই ফোন রিসিভ করা হয় তখন কিন্তু ফোনের রেডিয়েশন টা খুবই ক্ষীণ হয়ে যায় যার কারণে আপনার কোন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে তবে অবশ্যই এই জিনিসগুলো আর ভুলেও আজকের এই পোস্টটা পড়ার পর থেকে কিন্তু আর কখনোই ডান কানে ফোন রিসিভ করবেন না বাম কানে ফোন রিসিভ করবেন কেননা এতে আপনার অনেক সুবিধা হবে আর যদি আপনি রিসিভ করেন এতে কোন সমস্যা নেই তবে আমাদের সাজেস্টিভ হলো বাম কানে ফোন রিসিভ করতে পারেন!
2: - ঠান্ডা পানি দিয়ে ওষুধ খাবেন না! এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আমরা সচরাচর যা করি কোন একটা অসুখ হলে সেটার জন্য ওষুধ ঠিক আছে কিন্তু অসৎ আমরা ঠান্ডা পানি দিয়ে খায় এটা কিন্তু মোটেও উচিত নয় আর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ওষুধ কেন খাবেন না সেটা আমি আপনাদেরকে একটু বলে দেই কেননা এই জিনিসগুলো আপনাদের সবারই কিন্তু জানা প্রয়োজন আর কোনটা করলে কি হয় কোনটা দ্বারা কি ইফেক্ট হতে পারে সেটাও কিন্তু আপনাদের জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপনাদের দৈনিন্দিন জীবনে! গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা গরম পানি পান করে সব সময় তাদের কিন্তু পাকস্থলী এবং তাদের শরীরের যে সিস্টেম আছে সেটা কিন্তু খুবই বেশি এবং দ্রুত কাজ করে এবং সচল রাখতে সক্ষম কেননা যখন আপনি ঠান্ডা পানি পান করেন সেটা কিন্তু আপনার বডিতে কাজে লাগানোর আগে পানি থাকে আপনার বডি পাকস্থলীতে নিয়ে গরম করে তারপরে কিন্তু সেই ঠান্ডা পানি টাকে কাজে লাগাই কিন্তু আপনার বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখলে যে আমি গরমের দিন ঠাণ্ডা পানি খাই খুবই তৃপ্তি বাঁচে আসলে কিন্তু তা হচ্ছে না এই ঠান্ডা পানির যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার পেটে গরম না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু পারি না আপনার দেহে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করতে পারবে না অতএব আপনি যদি গরম পানি খান তাহলে আপনার বরের কিন্তু সবসময় গরম থাকে আপনার যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে একটা মুরগি অথবা প্রাণীর শরীরে হাত দিয়ে দেখবেন সব সময় প্রাণীদের শরীর গরম থাকে অতএব আপনি যদি কোনো মানুষের শরীরের টেম্পারেচার চেক করেন তাহলে কিন্তু তার টেম্পারেচার সর্বনিম্ন 96 থেকে 99 পর্যন্ত থাকে অতএব আমরা বুঝতে পারি যে আপনাদের শরীর কিন্তু সবসময় গরম থাকে অতএব আপনি কোন একটা জিনিস পেটের ভিতর কাজে লাগাতে চাই সেটা অবশ্য গরম হতে হবে আর সেটা যদি ওষুধের সাথে হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই তবে অবশ্যই আবার এত গরম বেশি গরম পান করেন না তাহলে আবার সমস্যা হয়ে যাবে আপনারা নরমাল কুসুম গরম পানি দিয়ে ওষুধ খাবেন আজকের পর থেকে!!
3: - তিন নাম্বার পয়েন্টে আমরা আলোচনা করব যে বিকাল পাঁচটার পর কোন ভারী খাবার খাবেন না অতএব দুপুরের খাবারের পর আর কোনো ভারী খাবার খাবেন না আমি আপনাদেরকে এই পোস্টে আলোচনা করার আগে আরো কিছু কথা বলে নেব একটা প্রবাদ বাক্য বলে যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে সকালের খাবার কাউকে দিওনা দুপুরের খাবার অর্ধেকটা দিয়ে দাও কাউকে রাতের খাবার পুরোটাই দিয়ে দাও অতএব এটা আমরা বুঝতে পারি যে সকাল বেলা গলা পর্যন্ত খান কোন সমস্যা নেই কারণ আপনি সারাদিন কাজ করবেন সব খাবার হজম হয়ে যাবে কিন্তু দুপুরবেলা আপনি বেশি খেতে পারেন তবে একটু কম খাওয়া ভালো আর সুন্নতি তরিকা হচ্ছে পেটের তিনভাগের একভাগ খাওয়া একবার খালি রাখা আর এক ভাগ পানি থাকে'!!! অনেকের আবার একটা বদ অভ্যাস আছে সেটা হচ্ছে রাত্রেবেলা খুব প্রচুর পরিমাণে তেলে ভাজা পোড়া সিঙ্গারা সমুচা বেগুনি আলুর চপ এই ধরনের খাবারের অভ্যাস আছে এই অভ্যাসগুলো কিন্তু আজ পরিত্যাগ করতে হবে কেননা আজকের পর থেকে আপনি এই সমস্ত জিনিস গুলো জানার পর আর কখনোই এ সমস্ত ভাজাপোড়া জিনিস খেতে চাইবেন না কেননা এটা আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর আর যদি আপনি খেতে চান তাহলে সকালে নাস্তা করার পর এগারোটা বারোটার দিকে কোন কিছু খেতে পারেন বেশি না একটা দুইটা এরকমভাবে আর দুপুরের খাওয়ার পর অর্থাৎ সন্ধ্যার দিকে কিন্তু কোন ধরনের ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া যাবেনা আর যদি আপনার খুব বেশি খিদে পায় তাহলে আপনি মুড়ি অথবা চানাচুর খেতে পারেন সেটা আপনার জন্য খুবই সহায়ক হবে অতএব আমরা এটা বুঝতে পারি যে দুপুরের পর অর্থাৎ সন্ধ্যা বারা একদিকে ভারি কোন খাবার খাওয়া যাবেনা
4: - সকালে বেশি বেশি পানি পান করুন এবং অর্থাৎ বিকাল দিকে পানি কম পান করুন কারণ হচ্ছে সন্ধ্যার দিকে যখন আপনি পানি কম পান করবেন তখন কিন্তু আপনার টয়লেটে যাওয়ার কম হবে কারণ তখন আপনার বডি কাজ করে না ফলে থাকে তখন কিন্তু বডি প্রস্রাব ধরে আর যখন আপনি সকাল থেকে বেশি বেশি পানি পান করবেন তখন কিন্তু সারাদিন আপনি যেই কাজটা করতে থাকবেন সেই কাজের সাথে কিন্তু আপনার ঘামের মাধ্যমে কিন্তু অর্ধেক যার কারণে পরবর্তীতে আপনার প্রস্রাবের বেগ ধরে না আপনারা খেয়াল রাখবেন সকাল দিকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন এবং বিকাল দিকে পানি তুলনামূলক কম পান করবেন আমি এটা বলছি না যে পানি পান করবেন না এটা আপনার শীতের বেলা আরো বেশি কাজে লাগাতে পারেন কারণ শীতের বেলা রাতের দিকে পানির না খাওয়াই ভালো পানি খান এবং ব্যায়াম করুন প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করার কিন্তু অনেক উপকারিতা
5: - আপনাদের নিয়মিত ঘুমাতে হবে আর ঘুমানোর টাইম টা আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা জেনে নিন কারণ সঠিক টাইম টারজান আপনাদের অনেকেরই দরকার ঘুমানোর সঠিক টাইম হচ্ছে রাত 10 টা থেকে সকাল থেকে সকাল 6 টার ভিতরে গানটা কিন্তু আপনাদেরকে ঘুমাতে হবে কেননা এই টাইমটা যদি আপনার ঘুমানোর অভ্যাস না করেন তাহলে কিন্তু এটা আপনার শরীরের ওপর বিরাট ক্ষতিকর একটা প্রভাব ফেলে প্রভাব বিস্তার করে হ্যাঁ বন্ধুরা আর আপনাদেরকে আরও একটা কথা বলে দেই এশার সালাতের আগে কেউ ঘুমাতে পারবেন না আর এসব সালাতের পরে কেউ জেগে থাকতে পারবে না হ্যাঁ বন্ধুরা এটাই নিয়ম আর আপনারা অবশ্যই টাইম মেনটেন করে ঘুমাবেন আর যদি মাঝে মাঝে সুযোগ পান তাহলে তাহাজ্জুদের সালাত পড়ার চেষ্টা করবেন!!!
6: - ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়বেন না হ্যাঁ বন্ধুরা আপনারা সঠিক এই শুনেছেন কেননা ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথে যদি আপনি ঘুমিয়ে পড়েন না!!!! কেননা আপনি যদি খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে যান তাহলে কিন্তু আপনার এন্টি বডি সিস্টেম টা কাজ করতে পারে না হ্যাঁ বন্ধুরা কারণ হচ্ছে আপনি যখন সারাদিন কোন কাজ করবেন কাজের পর কিন্তু আবার প্রচন্ড ঘুম ধরবে কিন্তু যদি আপনি সারাদিন বসে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার সঠিক ভাবে ঘুম ধরবে না এটা যার আমরা এটা বুঝতে পারি যে আমাদের বডি যখন ঠিক পাবে আমাদের সিস্টেমে কাজ করতেন না পারে তখন কিন্তু শরীর অবশ হয়ে যায় যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এন্টি বডি সিস্টেম কিন্তু দুর্বল হয়ে যায় যার কারণে কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পরে ওষুধ টা কিন্তু কাজে লাগাতে পারছে না এর জন্য আমি আপনাদেরকে বলবো যে আজকের পর থেকে অন্তত এই পোস্টটা দেখার পর থেকে আর কখনো কোনদিনও ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়বেন না বিনীত অনুরোধ
রইল
পুষ্টি পর্যন্ত আজ আমি আপনাদের সামনে খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বললাম এই টিপসগুলো কিন্তু খুব বেশি কঠিন না কেননা এই পোষ্ট গুলো যদি আপনারা সঠিকভাবে একটু কষ্ট হলেও মানেন তাহলে কিন্তু আপনাদের জীবনে অনেক ফায়দা হলে হতেও পারে আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে আরো নতুন নতুন কিছু জানতে পারবেন শিখতে পারবেন বুঝতে পারবেন এবং আমাদের সাইটে bd.com সাইটের সাথেই থাকবেন কেননা সার্টটা শুধুমাত্র আপনাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আবার আপনারা আমাকে বলে না যে আপনি পড়েন আমি পোস্ট লিখি আপনাদের পড়ার জন্য আপনাদেরকেই পড়তে হবে
0 Comments