হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।
আজকে আমি শেয়ার করব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখার ক্ষেত্রে যে ৬ টি ভাষা-গত সতর্কতা মেনে চলা জরুরি সে সম্পর্কে আজকের পোস্ট।
সোশ্যাল মিডিয়া এখন কিন্তু আর তেমন কোনও প্রাইভেট জিনিস না, সোশাল মিডিয়া ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলিও না। সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন আপনার প্রফেশনাল কলিগস থাকে, আপনার বস থাকে, আপনার জুনিয়ররা থাকে, আপনার অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকে আরও অনেকেই থাকে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি কি পোস্ট করছেন বা না করছেন সেটা খেয়াল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা অনলাইনে অনেকেই অনেক ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। অনেকে তাদের বিরক্তি তাদের রাগ এমনকি তাদের প্রত্যেকটা মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকে। কেউ কেউ সারাক্ষণ ক্ষোভ ঝাড়তে থাকে এটা ভালো না ওঠা ভালো ওইটা ভালো না ওইটা ভালো, এই কাজটা আমার ভালো লাগে নাই, ওই ক্লায়েন্ট আমার ভালো লাগে নাই, এই কোম্পানি আমি ছেড়ে দিব অন্য কোম্পানিতে কাজ করবো।
এগুলোর যদি আপনি করতে থাকেন। তাহলে আপনার অনেক পার্সোনাল ইনফরমেশন কিন্তু আপনার কম্পিটিটার যারা আছে তারা আপনার এই ইনফরমেশন গুলো পেয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে আপনার চাকরিতে সমস্যা হতে পারে আপনার বস, আপনার কলিগ এবং আপনি যেখানে কাজ করেন তারা সবাই আপনার এই পোস্ট দেখার কারণে তারা বুঝে যাবে যে এই জায়গায় আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক না। একে যদি আমরা ক্লায়েন্ট হিসেবে পাই তাহলে তো এটা আমাদের জন্য বিপদজনক। আমাদের কাজ ঠিকমতো করবে না অন্য কোম্পানিতে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সারাক্ষণ গালাগালি করতে থাকবে ফলে সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। এই ক্লাইন্ট টা আমাদের দরকার নেই। এভাবে হয়তো আপনার চাকরিটা চলে যেতে পারে!
অর্থাৎ আপনি যখন ফেসবুক বা টুইটার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করবেন তখন খেয়াল রাখবেন,যে সে পোস্টটা কে কে পাচ্ছে বা পাবে বা পোস্ট টা কি ধরনের হবে। আপনার পোষ্ট পড়লে আপনার চাকরি গত কোন সমস্যা হবে কিনা কিংবা আপনার ক্লায়েন্ট কোন কিছু মনে করবে কিনা এসব মাথায় রেখে আপনাকে পোস্ট করতে হবে। কারণ এটা একটা সামাজিক মাধ্যম এখানে সবাই আপনাকে দেখছে। অর্থাৎ আপনাকে পোস্ট করার সময় নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় পোস্ট করতে হবে উত্তেজিত হয়ে কিংবা আবেগাপ্লুত হয়ে পোস্ট করলে সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।
পোস্ট করার ক্ষেত্রে মার্জিত ভাষাও কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটা আপনার ব্যক্তিগত প্লেস হলে আপনার ভাষা প্রয়োগে আপনার কোন সমস্যা হতো না কিন্তু যেহেতু একটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যার ফলে আপনাকে এখানে সবাই দেখবে। আপনার ফ্রেন্ড সার্কেল এবং আপনার অফিসের বস থেকে শুরু করে এমপ্লয়ী এবং যারা যারা আছে তাদের সবাই কিন্তু আপনার এই পোস্ট পড়বে এবং তারা একেকজন কিন্তু একেক ভাবে রিয়েক্ট করতে পারে সেটা আপনার ক্ষেত্রে পজিটিভ হতে পারে।
তবে এখানে মাঝে মাঝে আমাদের যেই জিনিসটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে। আমরা যখনই কোনো কথা বলতে চাই ফ্রেন্ড সার্কেল হোক অথবা ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ভাইবারে যদি আমরা কোন পোস্ট করি তখন কিন্তু আমাদের এটা মাথায় থাকে না যে এটা পাবলিক প্লেস।
এখানে আপনার ক্লায়েন্টরা থাকবে আপনার ফ্রেন্ডসরা থাকবে তাছাড়া আরও অনেক ধরনের মানুষ থাকবে যারা আপনাকে ফোলো করে থাকে। আবার আপনার মাথায় এই জিনিসটা কাজ করে না যে আপনি যে পোস্ট করছেন এটা কি এটা কি আপনার পরিবেশের মতোই? মানে (অন্চলিক)।যেমন মনে করেন আমি গ্রামে গেলে এক রকম ভাবে কথা বলি, আবার যদি ঢাকায় থাকি তাহলে আরেক রকম ভাবে কথা বলি, এখন গ্রামের মানুষের সাথে আমি গ্রামের ভাষায় কথা বলি, ঢাকার মানুষের সাথে ঢাকার ভাষায় কথা বলি, এটাই নিয়ম এখন যদি আমি ঢাকায় এসে গ্রামের ভাষা প্রয়োগ করি তাহলে কিন্তু এটা বেমানান।
আর যদি ঢাকাতে আপনার গ্রামের কেউ থাকে তার সাথে আপনি গ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারেন। গ্রামের ভাষাকে কিন্তু আমি ছোট করে বলছি না বরঞ্চ আমার কাছেই শুদ্ধ ভাষা থেকে গ্রামের ভাষাই প্রিয়, কারন একটা তৃপ্তি আসে কিন্তু ঢাকার বাসা কোন তৃপ্তি নাই।
আমি আপনাদেরকে এটা বুঝাতে চাচ্ছি যে আপনি কোন কিছু টাইপিং করবেন বা কোন কিছু ফেসবুকে পোস্ট করবেন স্ট্যাটাস দিবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে গ্রামের আঞ্চলিক ভাষা আর শুদ্ধ ভাষা যেন একসাথে মিক্স না হয়ে যায়। আর যদি আপনি আন্চ্বলিক ভাষা দিতে চান তাহলে পুরোটাই আঞ্চলিক ভাষায় দিবেন। আর যেখানে আপনার শুদ্ধ ভাষায় পোস্ট দেওয়ার দরকার সেখানে শুদ্ধ ভাষায় লিখবেন।
আমার মনে হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শব্দের শুদ্ধ ভাষায় পোস্ট দেয়াই উত্তম। এখানে অনেক ধরনের মানুষ থাকে সবাই সব রকমের কথা বুঝেনা কারণ একই জিনিস এলাকাভিত্তিক অঞ্চলভিত্তিক একেক নামে পরিচিত। যমনঃ আপনি আপনার আঞ্চলিক ভাষায় পানি কে বলে একরকম কিন্তু ঢাকায় এসে দেখেন যে পানিকে আরেক নামে ডাকে। কিন্তু দুইটা দুই রকম হয়ে গেছে জিনিস কিন্তু একটাই। এতএব একটু খেয়াল রাখবেন।
আবার নেগেটিভ ও হতে পারে। যদি সেটা পজিটিভ হয় তাহলে তো আপনার ক্ষেত্রে অনেক ভালো।কিন্তু যদি নেগেটিভ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার জন্য খারাপ হতে পারে তো আপনি যখনই যে কোন জায়গায় পোস্ট করবেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তখন একটু বুঝে শুনে পোস্ট করবেন এবং আপনি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় পোস্ট করবেন। আপনি মার্জিত ভাষা ব্যবহার করবেন।
আমরা ফেসবুকে সাধারণ পোস্ট করে থাকি উন্নত মানের পোস্ট করি ইনস্টাগ্রাম ভাইবার হোয়াটসঅ্যাপ এগুলোতে বিভিন্ন রকম আলাদা আলাদাভাবে পোস্ট করে থাকি পোস্ট করার ক্ষেত্রে কিন্তু শব্দচয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার কোন খারাপ শব্দ বা কোন এমন কোন শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয় যেটা খারাপ দিকে যায়। অর্থাৎ আমরা যতদূর সম্ভব শব্দচয়নের দিকে খেয়াল রাখব। অর্থাৎ পোস্ট করার ক্ষেত্রে কোনো বাজে শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ আপনি জানেন না এ পোস্টটি কে পড়েছে কে কে দেখেছে। এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি তাদের নেগেটিভ দিকে পড়ে যাবেন অর্থাৎ তারা আপনাকে পছন্দ করবে না।
মাঝখানে আর একটু কথা আমি আপনাদেরকে বলে রাখি। এখানে যখন আমরা টাইপিং করবো তখন বাংলা ইংরেজি হিন্দি সব রকমের ভাষা মিক্স করে কিন্তু আমরা অনেকে টাইপিং করি! যেটা একেবারে হাস্যকর😥 এবং ইউজলেস।
এজন্য অবশ্যই অবশ্যই এই জিনিসগুলো খেয়াল রাখবেন যেমন আপনার যখন টাইপিং করবেন যদি ইংলিশে টাইপিং করেন তাহলে সব গুলো ইংলিশে ইটাইপিং করতে হবে! আর যদি আপনারা বাংলায় টাইপিং করেন অথবা অনেক কে দেখা যায় অর্ধেক বাংলা লিখে আবার কিছু কিছু শব্দ মাঝখানে ইংলিশে লিখে বসে। যার সাথে চ্যাটস্ করছেন তার কাছে কিন্তু এটা চরম বিরক্তির কারন। কিন্তু সে আপনাকে এটা বলতে পারে না! মুখ বুঝে সহ্য করে যায়!
এতএব এ বিষয়গুলা সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখবেন।
আপনি যদি অপরিচিত কারো সাথে চ্যাট করেন তাহলে সে কিন্তু আপনার টেক্সটের মাধ্যমে আপনাকে চিনতে পারবে। আর আপনার প্রোফাইল ঘেঁটে কিন্তু আপনাকে অতটা বুঝতে পারবে না যতটা আপনার চ্যাট লিস্টে বুঝতে পারবে।
তো অবশ্যই যার সাথে চ্যাট করবেন তাকে অবশ্যই অবশ্যই কোনরকম বানান ভুল করে তাদেরকে ম্যাসেজ দিবেন যেমন মনে করেন আপনি কোন সাধারন কোথাও যদি লিখতে চান কোন মজা করে বা ফানি বিষয় যদি লিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা ভালো করে বানানটা দিকে খেয়াল রাখবেন। আর যেই ভাসায় টাইপিং করবে সেই ভাষায় কিন্তু আপনাদের কথা লিখবেন এভাবে করলে কিন্তু আপনার টেক্সট আবার চ্যাটিং করাটা প্রফেশনাল দেখাবে। যার ফলে আপনি তার কাছে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবেন।
আর ভাষা লেখার সময় আপনি যে ভাষাটা লিখবেন সে ভাষাতেই থাকার চেষ্টা করবেন অর্থাৎ আপনি যদি ইংরেজিতে লেখার চেষ্টা করেন তাহলে সম্পূর্ণ টা ইংরেজিতে দেওয়ার চেষ্টা করবেন আর যদি সম্পূর্ণ টা বাংলায় দেন তাহলে সেখানে কোন ইংরেজি দিবেন না কিংবা আপনি যে ভাষায় ব্যবহার করেন না কেন অবশ্যই ভাষার প্রতি খেয়াল রাখবেন।
0 Comments